Monday, November 2, 2015

আমার ডাইরি

১৭.০৪.২০১৮-আজ আমার মনারা নিজেদের বাড়ি ডেভেলপারকে দেয়ার জন্য ছেড়ে দিয়ে ভাড়া বাড়িতে উঠল। 

২২.৩.২০১৮-আজ আমার মুসলমানি হলো। মিরপুর শিশু হাসপাতালে। মা, বাবা, মনা আর ভাইয়া ছিল সাথে। আমি ভয় পাইনি।

৯.২.২০১৭-১৫.২.২০১৭ পর্যন্ত আমি মিরপুর শিশু হাসপাতালে ছিলাম। প্রথমে বাড়িতে কয়েকবার বমি হয়েছে তাই হাসপাতালে ভর্তি করেছে। কয়েকদিন ধরেই স্যালাইন দিয়েছে, নানা রকম ওষুধ দিয়েছে আমি খুবই দুর্বল হয়েছি বিড়িতে ফিরে এসে ভালভাবে হাটতে পারছি না।

৯.২.২০১৭ বৃহিষ্পয়িবার, আজ সকালে আমার বমি হচ্ছে বলে আমাকে মিরপুরে শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নানা টেস্ট করতে হচ্ছে। 

১৭/০৭/২০১৬ রবিবার, আজ আমার প্রথম দাঁত দেখা দিয়েছে ছোট খালামনি প্রথম দেখেছে।
১৬/০৭/২০১৬ শনি বার, আজ আমাকে ভিটামিন A খাওয়ানো হয়েছে। 
৭/৭/২০১৬ বৃহষ্পতিবার, আজ আমার জীবনের প্রথম ঈদ কিন্তু গত দুইদিন থেকে আমার জ্বর ও কাশি।
৭/৬/২০১৬ আজ প্রথম রমজান। আমি সাহরির সময় মা বাবার সাথে খাবার টেবিলে বসেছি। প্রতিদিন আমার ভাইয়া আমাকে কোলে নিয়ে ইফতার করত।
১৪/৪/২০১৬-পহেলা বৈশাখ ১৪২৩ বৃহষ্পতিবার আমার মুখে প্রথম শক্ত খাবার দেয়া হয়েছে।
১/৪/২০১৬ শুক্রবার, আজ আমার ভাই রাফসান এর জন্ম উপলক্ষে আমার ভাইয়ার বাড়িতে মসজিদের হুজুরদের ডেকে এনে ভোর থেকে কুরয়ান তেলাওয়াত হলো। হুজুররা সবাই তাকে দেখে ফু দিল। দুপুরে স্থানিয় মসজিদের মাদ্রাসার শিক্ষার্থিদের খাবারের ব্যবস্থা করল।
আজ আমার সোনা মা এর কুলখানির জন্য সকাল থেকেই বাড়িতে মেহমানদের জন্য বাবুর্চিরা মোরগ পোলাও আর কাবাব রান্না শুরু করল। তুহিন মামা সব বাজার ইত্যাদি ব্যবস্থা করেছে। বিলাত থেকে মেঝ নানাভাই ভাইয়ার কাছে টাকা পাঠিয়েছে।
আমার সোনা মামনির কুলখানির জন্যেও কুরয়ান খতম দেয়া হলো, মসজিদের জন্য কিছু টাকা দেয়া হলো, আমার ভাইয়ার কলিগ রহমান ভাইয়া আমার সোনা মামনির জন্য সুরা ইয়াসিন খতম দিয়েছে। মসজিদে জুম্মার পর সোনা মামনি আর আমার রাফসান ভাইয়ার জন্য দোয়া করল। আসরের পরে মসজিদে কুলখানির মিলাদ শুরু হলো। ভাইয়া ৪০০ প্যাকেট করেছিল আত্মীয় স্বজন সবাইকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল অনেকেই এসেছে। সবাই প্রাণ খুলে দোয়া করেছে, আমাকে এবং রাসসানকে কোলে নিয়ে সবাই আদর করেছে।

বেশ কয়েকদিন যাবত আমার আর রাফসান ভাইয়ার ভীষন কাশি। দুইবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল, ডাক্তার আমাকে এন্টি বায়োটিক এবং রাফসান ভাইয়াকে ৭টা ইনজেকশন প্রেসক্রিপশন দিল।

২৫/২/২০১৬ আজ সকাল ৭টায় আমার সোনা মা আমাকে রেখে চলে গেল না ফেরার দেশে। আমাকে আর কেউ ময়না পাখি বলে ডেকে বুকে তুলে নিবে না।
২১/২/২০১৬ আজ মামনি, বাবা আর খালামনি মিলে আমরা সবাই মিরপুর DOHS এ বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার ভাইয়া আজ ঝিটকা গিয়েছিল। যাবার সময় আমাদের দুই ভাইকেই বলে গেছে। তাই আমার মন বেশি খারাপ হয়নি।

১৯/২/২০১৬ আজ আমার ভাইয়ার উপন্যাস "নক্ষত্রের গোধূলি" এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হলো বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে, ভাইয়া আর আমার জোনাকবাতি গিয়েছিল। আজও ভাইয়া আমাদের দুই ভাইয়ের জন্য বইমেলা থেকে বই কিনে এনেছে, সুকুমার রায়ের ছড়াসমগ্র, শ্রী দক্ষিণারঞ্জন মিত্রের ঠাকুরমার ঝুলি এবংপাতালপুরীর রাজকন্যা ও ডালিমকুমার।

১৭/২/২০১৬ আজ আমার ভাইয়া আমাদের দুই ভাইয়ের জন্য বইমেলা থেকে দুইটি বই কিনে এনে দিয়েছে। আমার ভাইয়া আমাকে কোলে নিয়ে বই পড়ে শোনায়। সুকুমার রায়ের গল্পসমগ্র এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছোটদের গল্পসমগ্র।
১৩/২/২০১৬ আজ আমার খালামনি আমাদের দুই ভাইয়ের জন্য বই কিনে এনেছে বইমেলা -২১০৬ থেকে "দি প্রিন্স এনড দি পপলার" মার্ক টোয়েনের বই। বই আনার পর আমার ভাইয়া আমাকে পড়ে শুনিয়েছে।
১২/২/২০১৬ আজ আমার দাদার বাড়ি গেলাম। বাবা গাড়ি ভাড়া করেছিল। ভাইয়া অনেক মিষ্টি নিয়েছিল আবার বাবা অনেক ফল নিয়েছিল। পথে আমি আমার ভাইয়ার কোলে ছিলাম। দাদা, দাদু, বড় ফুফা, আমার চাচী, চাচাত ভাই বোন, ফুফাতভাই সবার সাথে দেখা হলো সবাই আমাকে কোলে নিল। দাদু আমাদের জন্য বিরিয়ানি রান্না করেছিল। আমার সোনামা যেতে পারেনি বলে দাদু সোনামা আর মেসো সাহেবের জন্য বিরিয়ানি দিয়ে দিয়েছিল। আসার পথে ভাইয়া আমাকে নিয়ে বইমেলার কাছে দিয়ে আসার সময় বইমেলায় যেতে চেয়েছিল কিন্তু মাম্নি যেতে দেয়নি।

২/২/২০১৬ আজ আমার সেঝ নানা ভাই বার্মিংহাম চলে গেল।
২৫/০১/২০১৬ আজ আমার সোনামা আমার বাবু ভাইয়াকে বাসায় নিয়ে এসেছে।
২৪/০১/২০১৬ আজ আমার নানা ভাইয়ারর সেঝ মামা, নয়া মামা এবং ছোট মামা এসেছিল তারা আমাকে কলে নিয়ে ছবি তুলেছে আমাকে অনেক আদর এবং দোয়া করেছে।
২২/০১/২০১৬ আজ আমার সোনামাকে আল্লহ তাআলা একটা বাবু ভাইয়া দিয়েছে। ওরা সবাই আমাকে রেখে হাসপাতালে গিয়েছিল আমার খুব খারাপ লেগেছে বাসায় শুধু মামনি একা ছিল।

১৫/০১/২০১৬ আজ আমি মামানির কোলে বসে খালামনি আর মা মনির সাথে আমার মায়ের বান্ধবী শান্তা খালামনির বাসায় বেরাতে গিয়েছিলাম।
১২/০১/২০১৬ আজ বিলাত থেকে আমার সেঝ নানা ভাই এসেছে। এসেই আমাকে কোলে ণীয়েছে।
******************************************************************************************************************************************************************
২৮/১২/২০১৫ আজ আমার দাদু, ছোট ফুফু এবং ফুফাত ভাই হাদি ও সালমা আপু আমাকে দেখতে এসেছে। 
২৮/১২/২০১৫ আজ আমার নানাভাই আমাকে কোলে নিয়ে তার লেখা উপন্যাসের পান্ডুলিপির প্রুফ দেখেছেন।
২৬/১২/২০২৫ আজ বিকেলে মা, সোনা মা আর নানুর সাথে বড় নানুর বাড়িতে বেরাতে গিয়েছিলাম। বড় নানা এই প্রথম আমাকে দেখলেন।


২৫/১২/২০১৫ আজ মা আর বাবার সাথে নতুন বাসায় গেলাম। ওখানে সকালে ঘুম থেকে আমার ভাল লাগেনি। নানু, ভাইয়া কেও ছিল না। দুপুরে নানু গিয়ে আমাদের  নিয়ে এসেছে।

১৬/১২/২০১৫ আজ আমার ছোট নানু আমাকে দেখতে এসেছিল। ছোট নানু আমাকে সুন্দর দুইটা নক্সি কাথা বানিয়ে দিয়েছে। বিকেলে আমার ছোট ফুফু আর বড় খালাত ভাই এসেছিল আমাকে দেখতে।

১৬/১২/২০১৫- আজ নানা ভাই আর নানুর সাথে আমার জীবনের প্রথম বিজয় দিবসে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করলাম। আমার ছবি পোস্টে ছবি দেখা যাবে।

১৫/১২/২০১৫-আজ আমার টিকা দিয়ে এনেছে। সারাদিন আমি ভীষণ কান্না করেছি, বেশ ব্যাথা হচ্ছিল। ভ্যাকসিন পাতায় বিস্তারিত দেখা যাবে।
১০/১২/২০১৫ আজ আমার খালামনি আমাকে আমার প্রথম খেলনা। একতা মটর বাইক কিনে দিয়েছে।
৩/১২/২০১৫- গত কয়েকদিন থেকে আমার শরীরটা একটু অস্বস্তি লাগছিল বলে মামনি আর খালামনি আমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল।
২৯/১১/২০১৫- আজ আমার চুল কাটান হলো।
২৬/১১/২০১৫- আজ বড় নানা ভাইয়া আমার সাথে দেখা করে বিলাত চলে গেল।
২০/১১/২০১৫- আজ আমার বড় নানা বিলাতের বার্মিংহাম থেকে এসে আমাকে কোলে নিল। অনেক আদর করল, অনেক দোয়া করল। 

 ১৮/১১/২০১৫- আজকে প্রথম আমাকে আমার ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। মামনি, আর দুই খালামনি সিএনজিতে করে নিয়ে গেছে। ডাক্তার আমাকে দেখে বলল আমার কোন সমস্যা নেই আমি সুস্থ আছি। এক দিন পরে পরে গোসল করাতে বলল।

১৭/১১/২০১৫-আজ আমি সন্ধ্যায় অনেকক্ষণ জেগে ছিলাম। নানা ভাই অফিস থেকে এলে পরে নানা ভাইয়ের সাথে খেলা করেছি। পাশে নানুও ছিল। প্রতিদিন নানা ভাইয়া অফিস থেকে এসে আমার সাথে খেলা করতে চায় কিন্তু আমি ঘুমে থাকি বলে ভাইয়া আমার পাশে বসে থাকে।

১০/১১/২০১৫- আজ আমাকে Polio BCG ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। যাবার সময় মা ও নানু আমাকে কোলে নিয়ে গেছে। আগামীতে আবার যেতে হবে।

৯/১১/২০১৫- আজ আমি প্রথম গোসল করলাম। সোনা মা, মা এবং নানু আমাকে গোসল করিয়ে দিয়েছে।

৭/১১/২০১৫-আজ মা, ছোট খালামনি এবং সোনা মার সাথে মা ডাক্তার দেখাতে গেল। যাওয়া আসার পথে সোনা মা আমাকে কোলে নিয়ে সিএনজিতে করে গিয়েছিল। জীবনে এই প্রথম সিএনজিতে উঠলাম। আমি সিএনজিতে উঠে খুব বিরক্ত হচ্ছিলাম, রাতে সোনা মা নানা ভাইকে বলল এ কথা।

৬/১১/২০১৫-আজ আমার জন্ম উপলক্ষ্যে আজ সকালে বাড়িতে কুরয়ান খতম দেয়া হলো এবং মসজিদের মাদ্রাসায় শিক্ষার্থিদের দুপুরে খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজই বাবা মা এবং খালামনিরা সবাই মিলে আমার নাম রাখল।

৩/১১/২০১৫-আজ আমার বয়স যেদিন ৫ দিন, নানা ভাইয়া আমাকে কোলে নিয়ে কম্পিউটারে দীক্ষা দিলেন।


২/১১/২০১৫-আজ সকালে ডাক্তার আমাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে বলল। আমার বাবা হাসপাতালের একটা এমবুলেন্স নিয়ে আমাকে বাড়ি নিয়ে এলো। আমি নানা ভাইয়ার কোলে করে হাসপাতালের ছয় তলার ৬০২ নম্বর রুম থেকে সিড়ি দিয়ে নেমে এমবুলেন্সে উঠলাম। আধা ঘন্টার মধ্যে আমার নানা ভাইয়ের ৩৩৫- পশ্চিম পীরেরবাগ, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ ঠিকানার বাড়িতে এলাম। 
প্রথমে বড় বাবার (আমার নানা ভাইয়ের বাবা) সাথে আমার দেখা হলো। পরে আমার নানা নানু যে ঘরে থাকেন সেই ঘরে আমাকে শোয়ান হলো। সকালেই নানা ভাই আর নানু এই ঘর আমার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখেছিল। বিকেলে নানু আর সোনা মা তুহিন মামাকে দিয়ে মিষ্টি আনিয়ে পাড়ার সকল প্রতিবেশিদের মিষ্টি মুখ করাল।



No comments:

Post a Comment